আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি মরুভূমি

সাধারনত মরুভূমি শব্দটা শুনলে আমরা অসহ্য তাপমাত্রার বিশাল বালুময় জনমানবহীন একটি জায়গার কথা কল্পনা করি। তবে মরুভূমি বলতে শুধুমাত্র বালির পাহাড় ঘেরা জায়গাকে বুঝায় না। মূলত মরুভূমি হল এমন একটি অঞ্চল যেখানে প্রতি বছর ১০ ইঞ্চিরও কম গড় বৃষ্টিপাত হয়। তাই সাধারণত এই অঞ্চলগুলো বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্কতম, উষ্ণতম কিংবা শীতলতম স্থানগুলির মধ্যে একটি হয়। বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে, পৃথিবীর স্থল ভাগের তিন ভাগের এক ভাগ এলাকা মরুভূমি যেখানে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয় না এবং সেখানকার জলবায়ু, গাছপালা ও প্রাণীদের বসবাসের জন্য অনুপোযোগী। পৃথিবীর সব মহাদেশেই মরুভূমি পাওয়া যায় তবে এই মরুভূমির প্রকৃতি এবং আকার স্থান ভেদে ভিন্ন হয়। The Earth Banglar সেরা ১০ সিরিজের আজকের পর্বে আমরা জানাবো আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি মরুভূমি সম্পর্কে।

১. অ্যান্টার্কটিকা মরুভূমি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মরুভূমি অ্যান্টার্কটিকা যা মূলত পৃথিবীর দক্ষিণ মেরুতে অবস্থিত একটি মহাদেশ। এর আয়তন প্রায় ১ কোটি ৪২ লাখ বর্গ কিলোমিটার এবং এটি পৃথিবীর সবথেকে কম জনবসতিপূর্ণ এলাকা। সাধারণত মরুভূমি বলতেই আমরা শুকনো বালুকাময় স্থান মনে করলেও বিশ্বের সবচেয়ে বড় মরুভূমিটি একটি বরফের মরুভূমি। এটিকে মরুভূমি হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ এখানে প্রতি বছর গড়ে মাত্র ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্কতম, বাতাসযুক্ত ও শীতলতম স্থান যেখানে শীতকালে তাপমাত্রা -৮৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এই অঞ্চলে স্থায়ীভাবে কেউ বাস করেনা তবে বছরে নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও তাদের সহকারীরা এখানেই ভ্রমণ করে গবেষণার উদ্দেশ্য।

২. আর্কটিক মরুভূমি

আর্কটিক পৃথিবীর সর্ব উত্তরের একটি অঞ্চল যা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মরুভূমি।  ইংরেজিতে Arctic নামটি গ্রিক শব্দ Arktos থেকে এসেছে যার অর্থ হলো ভালুক। এর আয়তন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ বর্গ কিলোমিটার। এটিও বরফে ঢাকা একটি মরুভূমি যা আলাস্কা, কানাডা, গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে ও রাশিয়া জুড়ে বিস্তৃত। আর্কটিক অঞ্চলে শীতকালে তাপমাত্রা -৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায় এবং গ্রীষ্মে প্রায় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকে। এখানকার পরিবেশ মানুষের বসবাসের জন্য অত্যন্ত দুর্গম। তাই এটি পৃথিবীর সবথেকে কম জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলের মধ্যে একটি। অ্যান্টার্কটিকের মতো, আর্কটিক মরুভূমিও একটি শুষ্ক, জনশূন্য এবং খুব ঠান্ডা জায়গা। বৃষ্টিপাতের অভাবে এটিকেও মরুভূমি হিসেবে বিবেচনা করা হয় তবে অ্যান্টার্কটিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে এখানে। যদিও অ্যান্টার্কটিকা মরুভূমির বিপরীতে, আর্কটিকে গাছপালা এবং প্রাণী বেঁচে থাকতে সক্ষম।

আরো জানুন: বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম ১০টি দেশ

৩. সাহারা মরুভূমি

পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম স্থান সাহারা মরুভূমি আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মরুভূমিএর আয়তন প্রায় ৯২ লাখ বর্গ কিলোমিটার যা আফ্রিকা মহাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভূমি জুড়ে রয়েছে। এটি আফ্রিকার উত্তরে অবস্থিত ১১ টি দেশ যথা আলজেরিয়া, চাদ, মিশর, লিবিয়া, মালি, মৌরিতানিয়া, মরক্কো, নাইজার, পশ্চিম সাহারা, সুদান এবং তিউনিসিয়ার কিছু অংশ জুড়ে বিস্তৃত। এই মরুভূমির বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ৩ ইঞ্চির বেশি হয় না তাই সেখানে কোন গাছপালা জন্মায় না। কোন কোন জায়গায় কিছু ঘাস বা ছোট গাছ জন্মে। এই অঞ্চলের জলবায়ু অত্যন্ত বৈচিত্র্যপূর্ণ ও শুষ্ক যেখানে দিনের বেলা প্রচন্ড গরম এবং রাতের বেলা অসহনীয় ঠান্ডা। তাই সাহারা মরুভূমিতে মূলত স্থায়ী কোনো মানুষ বাস করে না। বিভিন্ন যাযাবররা বিভিন্ন সময় অস্থায়ীভাবে সাহারায় বসবাস করে। এই প্রতিকূল পরিবেশ হওয়া সত্ত্বেও, এখানে কিছু  উট, টিকটিকি এবং বিচ্ছু সহ অসংখ্য মরুভূমির প্রাণীর আবাসস্থল।

৪. গ্রেট অস্ট্রেলিয়ান মরুভূমি

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ অবস্থিত গ্রেট অস্ট্রেলিয়ান মরুভূমি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মরুভূমিএর আয়তন প্রায় ২৭ লাখ বর্গ কিলোমিটার যা অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ডের প্রায় ১৮% ভূমি জুড়ে রয়েছে। অ্যান্টার্কটিকার পরে অস্ট্রেলিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্কতম মহাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ভিক্টোরিয়া মরুভূমি সহ অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের ৩৫% অঞ্চলে এত কম বৃষ্টিপাত হয় যে এই অঞ্চলগুলোকে সম্মিলিতভাবে গ্রেট অস্ট্রেলিয়ান মরুভূমি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। গ্রেট অস্ট্রেলিয়ান মরুভূমিতে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত প্রায় ৯.৮৪ ইঞ্চি কিন্তু উচ্চ বাষ্পীভবনের কারণে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ৩.৯৪ ইঞ্চির কম রেকর্ড করা হয়। এই মরুভূমিটি অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রে অবস্থিত যেখানে বেশিরভাগ অঞ্চলে জনবসতি নেই তবে এই মরুভূমিতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বন্য উট পাওয়া যায়। এছাড়া এখানে রয়েছে জীববৈচিত্রের অন্যতম কিছু প্রাণীর নিদর্শন যা অন্য কোথাও দেখা যায় না। 

৫. আরব মরুভূমি

আরব মরুভূমি আয়তনে পৃথিবীর ৫ম বৃহত্তম ও এশিয়ার সবচেয়ে বড় মরুভূমি। এর আয়তন প্রায় ২৩ লাখ বর্গ কিলোমিটার যা পশ্চিম এশিয়ার আরব উপদ্বীপের বেশিরভাগ অঞ্চল দখল করে রয়েছে। মরুভূমিটি জর্ডান, ইরাক, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, ইয়েমেন, বাহারাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পারস্য উপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত যার কেন্দ্রে রয়েছে সৌদি আরব। এখানে জলবায়ু হল অতি শুষ্ক এবং বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ৩.৯ ইঞ্চির কম। আরব মরুভূমি সাহারা মরুভূমির প্রায় কাছাকাছি যার ফলে গ্রীষ্মেকালে দিনের বেলায় এখানকার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত চলে যায় কিন্তু রাতে মারাত্মকভাবে ঠান্ডা পড়ে। এত প্রতিকূল পরিবেশ হওয়া সত্বেও, আরব মরুভূমিতে প্রায় দুই মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ বসবাস করে আসছে এবং এরকম আবহাওয়ার কারণে এখানে খুব সামান্য কিছু উদ্ভিদ জন্মাতে পারে। এছাড়াও আরবীয় মরুভূমিতে উট, মাকড়সা, পঙ্গপাল, গোবরের পোকা, বিচ্ছু, এবং আরবীয় কোবরা সহ কিছু অনন্য প্রজাতির প্রাণীদের বাসস্থান।

আরো জানুন: বিশ্বের সবচেয়ে শীতলতম ১০টি দেশ

৬. গোবি মরুভূমি

গোবি মরুভূমি হল পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত একটি মরুভূমি, যা আয়তনে বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মরুভূমি। এর আয়তন প্রায় ১৩ লাখ বর্গ কিলোমিটার যা উত্তর চীন এবং দক্ষিণ মঙ্গোলিয়ার বিশাল অংশ জুড়ে বিস্তৃত। এই মরুভূমির তাপমাত্রা শীতকালে -৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে গ্রীষ্মেকালে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে থাকে।  গোবি মরুভূমির বেশিরভাগ জায়গায় বালুময় নয়, এর বেশিরভাগ অঞ্চল খালি পাথর এবং পাহাড় দিয়ে তৈরি। তাই এখানে তেমন কোন উদ্ভিদ জন্মে না এবং জনবসতিও খুব কম। এছাড়াও গোবি মরুভূমিকে বৃষ্টিছায়া মরুভূমিও বলা হয় কারণ মরুভূমির কাছেই হিমালয় পর্বতমালার অবস্থান যা এই মরুভুমিতে আসা সমস্ত মেঘ বা বৃষ্টির আবহাওয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে এই মরুভূমিতে বৃষ্টিপাত প্রায় হয় না বললেই চলে। তবে মরুভূমি হলেও, এটি তার বিরল প্রাণী তুষার চিতা এবং ব্যাক্ট্রিয়ান উটের জন্য বিখ্যাত।

৭. কালাহারি মরুভূমি

কালাহারি দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত একটি উপক্রান্তীয় মরুভূমি যা বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম মরুভূমিএর আয়তন প্রায় ৯ লাখ বর্গ কিলোমিটার। লাল বালি দিয়ে আবৃত এই মরুভূমিটি অ্যাঙ্গোলা, নামিবিয়া, বতসোয়ানা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু অংশ জুড়ে বিস্তৃত। এখানে গ্রীষ্মকালের তাপমাত্রা ৪০° সেলসিয়াসের উপরে এবং শীতেকালে -১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়। এই অঞ্চলের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ৬ থেকে ১০ ইঞ্চির মধ্যে হয়ে থাকে। তাই এই তালিকার অন্যান্য মরুভূমির থেকে কালাহারি মরুভূমি ভিন্ন এবং এই মরুভূমি তেমন জনশূন্য নয়। এই মরুভূমির বালি অধিক পানি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন, যে কারণে অন্যান্য মরুভূমির তুলনায় এখানে বেশি গাছপালা ও প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে। তাই এই মরুভূমিতে এখনো প্রচুর গাছপালা রয়েছে এবং মেরকাত, হায়েনা, কুডু ও ওয়াইল্ডবিস্টের মতো বন্য প্রাণীরা এই অঞ্চলে বসবাস করে।

৮. পাতাগোনিয়া মরুভূমি

দক্ষিণ আমেরিকা আর্জেন্টিনা অবস্থিত পাতাগোনিয়া মরুভূমি বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম মরুভূমিএর আয়তন প্রায় ৬ লাখ ৭৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার যা দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম মরুভূমি। এই মরুভূমি বৃহত্তম অংশ আর্জেন্টিনায় হলেও চিলির কিছু অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এর পশ্চিমে আন্দিজ পর্বতমালা এবং পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর। এটি মূলত শীতল মরুভূমি এবং এখানে বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ১৫ ডগ্রী সেলসিয়াস। বছরের ৭ মাস  শীতকাল হলেও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এখানে তুষারপাত হয়না তবে বায়ুর নিম্নচাপের কারণে বেশিরভাগ সময় ঝড়ো আবহাওয়া থাকে। প্রতিকূল আবহাওয়া সত্বেও এই মরুভুমি তেল ও কয়লা খনির কাজে বহু মানুষের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও এখানে বহু প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাস রয়েছে।

আরো জানুন: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ টি দ্বীপ

৯. সিরিয়া মরুভূমি

সিরিয়া একটি উপক্রান্তীয় মরুভূমি যা বিশ্বের নবম বৃহত্তম মরুভূমিএর আয়তন প্রায় ৫ লাখ বর্গ কিলোমিটার যার দক্ষিণ অংশ বৃহত্তর আরব মরুভূমির সাথে মিলিত হয়েছে। এটি মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত যা সিরিয়া, ইরাক, জর্ডান এবং সৌদি আরবের কিছু অংশ জুড়ে বিস্তৃত। মরুভূমিটির নাম সিরিয়া হলেও এটি জর্ডানের প্রায় ৮৫ শতাংশ জায়গা দখল করে আছে। মরুভূমিটি মূলত শক্ত পাথর এবং শুকনো নদী খাত দিয়ে তৈরি। ঐতিহাসিকভাবে মরুভূমিটিতে বেদুইন উপজাতিদের বসবাস এবং অনেক উপজাতি এখনও এই অঞ্চলে রয়ে গেছে। স্বল্প বৃষ্টিপাত এবং নিম্নমানের মাটির কারণে অঞ্চলটি প্রধানত পশুপালনের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে বেশ কিছু প্রজাতির বিপন্ন উদ্ভিত এবং প্রাণীর বাস রয়েছে এখানে।

১০. গ্রেট বেসিন মরুভূমি

গ্রেট বেসিন মরুভূমি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বের দশম বৃহত্তম মরুভূমিএর আয়তন প্রায় ৪ লাখ ৯২ হাজার বর্গ কিলোমিটার যার পূর্বে রকি পর্বতমালা, পশ্চিমে সিয়েরা নেভাদা পর্বতমালা, উত্তরে কলম্বিয়া মালভূমি এবং দক্ষিণে মোজাভে মরুভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত। এই মরুভূমির গ্রীষ্মকাল উষ্ণ ও শুষ্ক এবং শীতকাল তুষারময় হয়ে থাকে। তাই  গ্রীষ্মের সময় এই মরুভূমিতে প্রচন্ড গরম ও শীতকালে প্রচন্ড ঠান্ডা পরে। এই মরুভূমির বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ৭ থেকে ১২ ইঞ্চির মধ্যে হয়ে থাকে। তুলনামূলক অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে এইখানে ঘন জঙ্গল ও বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিত লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও প্রায় ৬০০ প্রজাতির মেরুদণ্ডী প্রাণী বাস করে এই মরুভূমিতে।

তো এই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি মরুভূমির তালিকা। আজকের মতো আর কোন কোন বিষয়ের উপর এরকম তালিকা দেখতে চান তা আমাদের অবশ্যই কমেন্ট করে জানান। আজকের বিষয়টি (সেরা ১০) ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের সাথে। পৃথিবীর এরকম (জানা-অজানা) অদ্ভুত সব অজানা তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

এছাড়াও যদি আপনি নিয়মিত বিশ্বের ছোট ছোট অদ্ভুত, রহস্যময় ও আশ্চর্যজনক বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের সামাজিক মাধ্যমগুলোর সাথে যুক্ত থাকুন।

ফেইসবুক পেইজ: The Earth Bangla

ইউটিউব চ্যানেল: The Earth Bangla

ইনস্টাগ্রাম পেজ: The Earth Bangla

ফেইসবুক গ্রুপ: The Earth Bangla Family

Post a Comment

Please do not Enter any spam comment or Link in the comment Box

নবীনতর পূর্বতন