আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ টি দ্বীপ

আমাদের পৃথিবীর বুকে ঠিক কতগুলো দ্বীপ রয়েছে তার সঠিক সংখ্যা জানা অসম্ভব হলেও ধারণা করা হয় পৃথিবী জুড়ে প্রায় কয়েক লক্ষাধিকের উপরে দ্বীপ রয়েছে। দ্বীপ বলতে সাধারণত পানি দ্বারা চারিদিকে পরিবেষ্টিত কোন ভূখন্ডকে বুঝায় এবং এরকম অসংখ্য দ্বীপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সারা পৃথিবী জুড়ে। এদের মধ্যে কিছু দ্বীপের আকার খুবই ছোট আবার কিছু দ্বীপের আকার এত বড় যে বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোকেও হার মানায়। তাই এসব দ্বীপের আয়তন, ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশ, তাপমাত্রা, জলবায়ু, উদ্ভিদ ও প্রাণীদের মধ্যে বিশেষ কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। The Earth Banglar সেরা ১০ সিরিজের আজকের পর্বে আমরা জানাবো আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ টি দ্বীপ সম্পর্কে।

১. গ্রীনল্যান্ড

গ্রিনল্যান্ড পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপ যা উত্তর আমেরিকা মহাদেশে অবস্থিত। সর্বমোট ২১ লাখ ৩০ হাজার ৮০০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপটি আটলান্টিক মহাসাগর ও উত্তর মহাসাগরের মাঝে অবস্থিত। বিশাল আকারের এই দ্বীপে মাত্র ৫৫ হাজার মানুষ বাস করে যা বিশ্বের সর্বনিম্ন ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। বিশাল আয়তনের এই দ্বীপটিতে শুধুমাত্র জনসংখ্যা কম থাকার কারণে এটিকে মহাদেশ হিসেবে গণ্য করা হয়না। এই দ্বীপটি মূলত ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্ত শাসিত অঞ্চল যার প্রায় ৮০ ভাগ অঞ্চল বরফ দ্বারা আবৃত। অ্যান্টার্কটিকার পরই গ্রিনল্যান্ডে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম বরফ স্তর রয়েছে। এই দ্বীপের একটি বড় অংশ বরফ মুক্ত এলাকা হলেও খুব সামান্য অংশই আবাদযোগ্য জমি। ভৌগলিক অবস্থানের কারনে উত্তর মেরু অঞ্চলে সূর্যের দেখা পাওয়া যায় মাত্র ৩ ঘন্টার মতো, ফলে গ্রীনল্যান্ডে শীতকাল খুব দীর্ঘস্থায়ী থাকে। এখানকার মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস মৎস্য শিকার ও তিমি শিকার। গ্রিনল্যান্ডের শহরগুলোকে যুক্ত করার মত কোনো নিরবচ্ছিন্ন সড়ক পথ নেই তাই বেশিরভাগ ভ্রমণ নৌকা ও বিমান দ্বারা করা হয়।

২. নিউগিনি দ্বীপ

অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত নিউগিনি দ্বীপ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের বৃহত্তম দ্বীপ। এই দ্বীপটির মোট আয়তন ৭ লাখ ৮৫ হাজার ৭৫৩ বর্গকিলোমিটার যা এশিয়া ও ওশেনিয়া দুটি মহাদেশ জুড়ে বিস্তৃত। নিউগিনি দ্বীপটি রাজনৈতিকভাবে প্রায় মাঝখানে বিভক্ত। পশ্চিমে অর্ধেক ইন্দোনেশিয়ার এবং পূর্বে অর্ধেক স্বাধীন দেশ পাপুয়া নিউ গিনির। এশিয়া ও ওশেনিয়ার মধ্যবর্তী সীমানাকে সাধারণত পাপুয়া নিউ গিনি এবং ইন্দোনেশিয়ার মধ্যবর্তী সীমান্ত বলে বিবেচনা করা হয়। দ্বীপের পূর্ব দিকে পাপুয়া নিউ গিনিকে ওশেনিয়ার অংশ এবং পশ্চিম দিকে ইন্দোনেশিয়ার অংশকে এশিয়ার অংশ হিসাবে বিবেচিত করা হয়। দ্বীপটিতে মজুদ রয়েছে বিপুল পরিমানে কপার ও সোনা। এ অঞ্চলের জনবসতি স্থাপন হয় প্রায় ৪০ হাজার বছর আগে। বর্তমানে এই দ্বীপে মোট ১১ মিলিয়নেরও বেশি লোক বাস করে। এছাড়াও এই দ্বীপের প্রায় পুরোটা জুড়ে রয়েছে সুউচ্চ পর্বত শ্রেণি এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আবাসস্থল।

আরো জানুন: বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম ১০টি দেশ

৩. বোর্নিও দ্বীপ

বোর্নিও দ্বীপ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। এটি এশিয়া মহাদেশে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত। এই দ্বীপটির মোট আয়তন ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৬৮ বর্গ কিলোমিটার যা বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় ৫ গুন। এটি পৃথিবীর একমাত্র দ্বীপ যা ৩টি দেশের দ্বারা পরিচালিত হয়। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাই এই দ্বীপটি শাসন করলেও এর বেশিরভাগ অঞ্চল প্রায় ৭৩% ইন্দোনেশিয়ার অন্তর্ভুক্ত। বাকি ২৬% মালয়েশিয়া ও ১% ব্রুনাইয়ের অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে এই দ্বীপে প্রায় ২১ মিলিয়নেরও বেশি লোক বসবাস করে। এই দ্বীপের আদিবাসীরা দায়াক নামে পরিচিত। তারা ৫০ টি জাতিগত গোষ্ঠীতে বিভক্ত এবং ১৪০টি ভিন্ন ভাষা রয়েছে তাদের। এই দ্বীপের তামান নেগারা রেইনফরেস্টকে পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো রেইনফরেস্ট হিসেবে ধারণা করা হয় যেখানে ১৫ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ, ২২১ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৪২০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। এছাড়া এই দ্বীপের স্বাদু পানিতে প্রায় ৪০০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। এটি ইউনেস্কো দ্বারা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত।

৪. মাদাগাস্কার দ্বীপ

ভারত মহাসাগরে আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত মাদাগাস্কার পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপ। এটি মূলত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র যার আয়তন ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৪১ বর্গ কিলোমিটার। এটি আফ্রিকা এবং ভারত মহাসাগরের বৃহত্তম দ্বীপ। দ্বীপটির জনসংখ্যা প্রায় ২৮ মিলিয়ন এবং এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ রাষ্ট্র। প্রায় ৮৮ মিলিয়ন বছর আগে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে আলাদা হয়ে এই দ্বীপটির জন্ম। এখানে ১৪,০০০ প্রজাতির উদ্ভিদ ও ২, ৫০,০০০ প্রজাতির প্রাণীর বসবাস যার ৯০ ভাগই এখানকার স্থানীয় প্রজাতির যা পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায়না। মাদাগাস্কারে বিশ্বের সমস্ত পরিচিত উদ্ভিদ এবং প্রাণীর প্রজাতির মাত্র ১% রয়েছে অর্থাৎ এই দ্বীপের প্রায় ৯৯% উদ্ভিদ এবং প্রাণীদের প্রজাতি আমাদের অজানা। তাই মাদাগাস্কার দ্বীপটিকে পৃথিবীর অষ্টম মহাদেশ বা বিকল্প পৃথিবীও বলা হয়ে থাকে

৫. ব্যাফিন দ্বীপ

কানাডার নুনাভাট প্রদেশে অবস্থিত ব্যাফিন দ্বীপটি কানাডার সর্ববৃহৎ এবং বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দ্বীপ। এটি গ্রীনল্যান্ড দ্বীপের বাইরে ব্যাফিন উপসাগরের পূর্ব দিকে অবস্থিত যার আয়তন প্রায় ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৫১ বর্গ কিলোমিটার। এই দ্বীপটির নামকরণ হয়েছে ব্রিটিশ অনুসন্ধানকারী উইলিয়াম ব্যাফিন এর নামানুসারে যিনি ১৬১৬ সালে এই দ্বীপটি আবিষ্কার করেন। এই দ্বীপটি অত্যন্ত ঠাণ্ডা যেখানে বার্ষিক গড় তাপমাত্রা -৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তবে এই দ্বীপটিতে অসংখ্য মিঠা পানির হ্রদ রয়েছে। দুর্গম এই দ্বীপটিতে জনবসতি খুবই কম। বিশাল এই দ্বীপের জনসংখ্যা মাত্র ১৩ হাজার যার অধিকাংশ দ্বীপটির রাজধানী ইকালুইতে বসবাস করে। এছাড়াও এই দ্বীপে মেরু ভালুক, সুমেরু নেকড়ে সহ বিভিন্ন ধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণীর বসবাস। তবে ব্যাফিন দ্বীপে কিছু প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদও পাওয়া যায় যার মধ্যে সিসা, দস্তা এবং রুপা অন্যতম।

আরো জানুন: বিশ্বের সবচেয়ে শীতলতম ১০টি দেশ

৬. সুমাত্রা দ্বীপ

সুমাত্রা দ্বীপ আয়তনে পৃথিবীর দ্বীপগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ ও ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪৮১ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট এই দ্বীপটি এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপপুঞ্জের সর্ব পশ্চিমে অবস্থিত এই দ্বীপটি অত্যধিক মাত্রায় ভূমিকম্প ও সুনামি প্রবণ। সুমাত্রা দ্বীপর উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম পর্যন্ত সমগ্র অঞ্চলকে ঘিরে রেখেছে ভারত মহাসাগর। এছাড়াও এই দ্বীপের পর্বতমালায় অসংখ্য সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ছোট এই দ্বীপে অধিবাসীসহ মোট জনসংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি। সুমাত্রা দ্বীপের বনভূমি ও প্রাণী জগত অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। দ্বীপটির জলবায়ু বিষুবীয়, উষ্ণ ও আদ্র এবং এই দ্বীপের বেশির ভাগ অংশই গ্রীষ্মমন্ডলীয় রেইনফরেস্ট দ্বারা আবৃত। এখানে কিছু বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী বাস করে যেমন সুমাত্রার বাঘ, ওরাং ওটাং, গণ্ডার ও কোকিল ইত্যাদি। তবে সুমাত্রা দ্বীপে প্রচুর পরিমাণে তেল, কয়লা, সোনা এবং রুপার মজুদ রয়েছে যা এই দ্বীপকে ইন্দোনেশিয়ার প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র করে তুলেছে।

৭. হনশু দ্বীপ

জাপান সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে অবস্থিত হনশু দ্বীপটি পৃথিবীর সপ্তম বৃহত্তম এবং দ্বিতীয় জনবসতিপূর্ণ দ্বীপ। এর আয়তন প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার ৮০০ বর্গ কিলোমিটার যা জাপানের মোট আয়তনের ৬০ ভাগ জুড়ে আছে। এটি জাপানের বৃহত্তম দ্বীপ যেখানে জনসংখ্যা প্রায় ১০ কোটিরও বেশি অর্থাৎ জাপানের মোট জনসংখ্যার অধিকাংশের বসবাস এই দ্বীপে। হনশু দ্বীপেই জাপানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহর, যেমন টোকিও, কিয়োটো, হিরোশিমা, ইয়োকোহামা এবং ওসাকা অবস্থিত। এছাড়াও জাপানের বৃহত্তম পর্বত ফুজি এই দ্বীপে অবস্থিত। তাই এই দ্বীপটিকে জাপানিদের মূল ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কেন্দ্রীয় পাহাড়ি অঞ্চলে দ্বীপের পশ্চিমে ও উত্তর অংশে শীতকালে প্রচুর শীত ও বরফ পড়ে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গ্রীষ্মকাল গরম ও আর্দ্র হয়। এসময় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়। তবে দ্বীপটিতে অসংখ্য পাহাড়-পর্বত ও আগ্নেয়গিরি থাকার কারণে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়।

৮. ভিক্টোরিয়া দ্বীপ

কানাডার ভিক্টোরিয়া দ্বীপ পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম দ্বীপ। এই দ্বীপটির মোট আয়তন ২ লক্ষ ১৭ হাজার ২৯১ বর্গ কিলোমিটার যা কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। আয়তনে এটি কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের আকারের প্রায় দ্বিগুণ এবং গ্রেট ব্রিটেনের দ্বীপের চেয়ে সামান্য বড়। বিশাল এই দ্বীপটি কানাডার নুনাভুত এবং উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের সীমান্তে অবস্থিত। এই দ্বীপের নামকরণ করা হয়েছে রাণী ভিক্টোরিয়ার নামানুসারে। এটি একটি শীতলতম দ্বীপ যার গড় তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিশাল আয়তনের এই দ্বীপটিতে মাত্র ২ হাজার জন লোক বাস করে। ধারণা করা হয়, ১৩০ থেকে ৩৫০ মিলিয়ন বছরের মধ্যে কোনো এক সময়ে এই দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমাংশে একটি উল্কাপিণ্ড পতিত হয় যার ফলে এই দ্বীপে একটি ১৫ মাইল চওড়া গর্ত সৃষ্টি হয়েছে যা এখনো দৃশ্যমান। তবে এই দ্বীপে এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা ভূমির সর্বোচ্চ উচ্চতা ৬৫৫ মিটার।

আরো জানুন: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি মরুভূম

৯. গ্রেট ব্রিটেন

ইউরোপ মহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে অবস্থিত গ্রেট ব্রিটেন বা ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ ইউরোপের বৃহত্তম এবং বিশ্বের নবম বৃহত্তম দ্বীপ। আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপটির আয়তন ২ লক্ষ ৯ হাজার ৩৩১ বর্গকিলোমিটার। ছোট বড় প্রায় ১০০০ টিরও বেশি দ্বীপ গ্রেট ব্রিটেনকে ঘিরে রয়েছে। তবে রাজনৈতিকভাবে, গ্রেট ব্রিটেন বলতে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ড অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত পার্শ্ববর্তী দ্বীপগুলিকে বোঝায় যা যুক্তরাজ্যের একটি অংশ। এই দ্বীপে জনবসতি শুরু হয় প্রায় ৫ লাখ বছর পূর্বে। বর্তমানে এই দ্বীপের জনসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ যা ইউরোপের সবচেয়ে জনবহুল এবং বিশ্বের তৃতীয় জনবহুল দ্বীপ। প্রায় সারা বছরই এই দ্বীপে আরামদায়ক মৃদু তাপমাত্রা থাকায় যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯৫% মানুষ বাস করে এখানে। লন্ডন হচ্ছে গ্রেট ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় শহর। গ্রেট ব্রিটেনের পশ্চিম উপকূলে আইরিশ সাগর, যেখানে আয়ারল্যান্ড দ্বীপ অবস্থিত। এছাড়াও দক্ষিণে রয়েছে ইংলিশ চ্যানেল যা গ্রেট ব্রিটেনকে ফ্রান্সের সাথে যুক্ত করে। 

১০. এলেসমের দ্বীপ

বিশ্বের দশম বৃহত্তম এবং কানাডার তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ এলেসমের যা কানাডার বৃহত্তম প্রদেশ নুনাভাটয় অবস্থিত। এটি কানাডার আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে উত্তরের দ্বীপ যার আয়তন  ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৩৬ বর্গ কিলোমিটার। এটি কানাডীয় সীমার মাঝে আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড় পাহাড়ি অঞ্চল। সম্পূর্ণ দ্বীপটি জুড়ে রয়েছে সুউচ্চ পর্বতের সারি আর বরফক্ষেত্র। দ্বীপটির বেশিরভাগ অঞ্চল আর্কটিক কর্ডিলেরা নামে একটি পর্বতশ্রেণী নিয়ে গঠিত এবং ২০১৬ মিটার উচ্চতা নিয়ে বারব্যো চূড়াটি এই দ্বীপের সর্বোচ্চ স্থানের জায়গা দখল করে আছে। এটি অত্যন্ত শীতলতম একটি দ্বীপ যার উত্তরাংশে থাকা পাললিক শিলা স্তরের বয়স ১ লক্ষ বছরের ও বেশি। আয়তনে অনেক বড় হলেও সব মিলিয়ে এই দ্বীপে মাত্র ১৯০ জন মানুষ বাস করে এবং প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে আর্কটিক খরগোশ, আর্কটিক নেকড়ে, শিয়াল, ভাল্লুক ইত্যাদি।

তো এই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ টি দ্বীপের তালিকা। আজকের মতো আর কোন কোন বিষয়ের উপর এরকম তালিকা দেখতে চান তা আমাদের অবশ্যই কমেন্ট করে জানান। আজকের বিষয়টি (সেরা ১০) ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের সাথে। পৃথিবীর এরকম (জানা-অজানা) অদ্ভুত সব অজানা তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

এছাড়াও যদি আপনি নিয়মিত বিশ্বের ছোট ছোট অদ্ভুত, রহস্যময় ও আশ্চর্যজনক বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের সামাজিক মাধ্যমগুলোর সাথে যুক্ত থাকুন।

ফেইসবুক পেইজ: The Earth Bangla

ইউটিউব চ্যানেল: The Earth Bangla

ইনস্টাগ্রাম পেজ: The Earth Bangla

ফেইসবুক গ্রুপ: The Earth Bangla Family

1 মন্তব্যসমূহ

Please do not Enter any spam comment or Link in the comment Box

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not Enter any spam comment or Link in the comment Box

নবীনতর পূর্বতন