বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি নদী

প্রাচীনকাল থেকেই মানব সভ্যতা নদী কেন্দ্রিক। নদীকে কেন্দ্র করে যেমন গড়ে উঠেছে হাজারো সভ্যতা আবার তেমনি নদীর কারণেই বিলীন হয়ে গেছে শত শত সভ্যতা যা আজও আমাদের অজানা। বিশ্বে প্রায় সকল সভ্যতাগুলি গড়ে উঠেছিল কোন না কোন নদীর উপত্যকায় অর্থাৎ নদী একটি সভ্যতার বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। সাধারণত উঁচু ভূমি বা পাহাড় থেকে সৃষ্ট ঝরনা, বরফগলিত স্রোত কিংবা প্রাকৃতিক পরিবর্তন থেকে নদীর জন্ম। এভাবেই পৃথিবীর পৃষ্ঠজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য নদী। তবে এসব নদীর দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা খুবই জটিল একটি কাজ। কারণ একটি নদী কখনোই একই গতিতে চলে না এবং কখনও কখনও কোনো নদীর উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে জানা সম্ভব হয়না। ফলে সময়ের সাথে সাথে নদীর দৈর্ঘ্যও পরিবর্তন হয়। তাই এখন আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নদী কোনটি? The Earth Bangla এর সেরা ১০ সিরিজের আজকের পর্বে আমরা জানাবো বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম ১০টি নদী সম্পর্কে।

১. নীলনদ

পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম নদীর নাম নীলনদ। উত্তর আফ্রিকায় অবস্থিত এই নদীটির দৈর্ঘ্য ৬,৬৫০ কিলোমিটার। তাঞ্জানিয়ার ভিক্টোরিয়া হ্রদে নীলনদের উৎপত্তি। প্রাচীনকাল থেকেই নীলনদ আফ্রিকার মানুষের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদী। এই নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতা এবং মিসরীয় সভ্যতা প্রাচীনকাল থেকেই নীলনদের ওপর নির্ভরশীল। এমনকি এখনও মিশরের প্রায় ৯৯ ভাগ মানুষ বাস করে নীলনদের অববাহিকায়। এছাড়াও মিশরের কৃষি ব্যবস্থা টিকে আছে এই নদীকে কেন্দ্র করে এবং নীলনদের পানি দিয়েই তারা জমিতে ফসল ফলায়। শুধু তাই নয়, নৌ চলাচলের জন্যও নীলনদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ। এর দুটি উপনদী রয়েছে, একটি শ্বেত নীলনদ ও অপরটি নীলাভ নীলনদ। পৃথিবীর দীর্ঘতম এই নদীটি ইথিওপিয়া, ইরিত্রিয়া, সুদান, উগান্ডা, তাঞ্জানিয়া, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, মিশর, কঙ্গো ও দক্ষিণ সুদান দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভূমধ্যসাগরে এসে মিশেছে।

২. আমাজন নদী

দৈর্ঘ্যের বিচারে আমাজন নদী পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী হলেও পৃথিবীর সব চেয়ে বড় নদী হচ্ছে আমাজন নদী। একটি নদী কি পরিমাণ পানি প্রবাহিত করে তার উপর ভিত্তি করেই বড় নদী নির্বাচিত করা হয় এবং সেই হিসেবে আমাজন নদী প্রতি সেকেন্ডে ১,৮০,০০০ কিউবিক মিটার পানি প্রবাহিত করে যা এই নদীকে পৃথিবীর সব চেয়ে বড় নদী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আমাজন নদীর দৈর্ঘ্য ৬,৪০০ কিলোমিটারএই নদী যে পরিমাণ পানি ধারণ করে পৃথিবীর অন্য কোন নদীর সেই সক্ষমতা নেই। আমাজন নদী সেকেন্ডে প্রায় ২ লাখ ৯ হাজার ঘনমিটার পানি বহন করে সাগরে নিয়ে যায়। পৃথিবীর সব নদী একত্রে যে পরিমাণ পানি সমুদ্রে মিলিত হয় আমাজন একাই তার প্রায় ২০ ভাগ পানি সমুদ্রে বহন করে। আমাজন নদীর অববাহিকায়ই গড়ে উঠেছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রেইনফরেস্ট আমাজন জঙ্গল। এই নদীটি ব্রাজিল, পেরু, বোলিভিয়া, কলোমবিয়া, ইকুয়েডর, ভেনিজুয়েলা ও গায়ানা দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে এসে মিশেছে।

আরো জানুন: পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ১০টি জঙ্গল

৩. ইয়াংজি নদী

পৃথিবীর তৃতীয় দীর্ঘতম ও এশিয়ায় সবচেয়ে দীর্ঘতম নদী চীনের ইয়াংজি নদীইয়াংজি নদীর দৈর্ঘ্য ৬৩০০ কিলোমিটার যা চীনের সবচেয়ে দীর্ঘতম নদী। এর আরেকটি নাম ছাং চিয়াং। এই নদীর অববাহিকার আয়তন ১৮ লাখ বর্গকিলোমিটার যা চীনের মোট আয়তনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এবং এর অববাহিকায় গোটা চীনের এক-তৃতীয়াংশ লোকের বসবাস। চীনের অর্থনীতি, ইতিহাস কিংবা সংস্কৃতি সবকিছুতেই এই নদীর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। চীনের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যশস্য এই ইয়াংজি নদীর অববাহিকায় উৎপাদন হয়। এছাড়াও বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে এই নদীর উপরই। ইয়াংজি নদীর উৎপত্তিস্থল তিব্বত মালভূমি অঞ্চলের টাংগুলা পর্বতশ্রেণী থেকে যা চীনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পূর্ব চীন সাগরে এসে মিশেছে।

৪. মিসিসিপি নদী

মিসিসিপি পৃথিবীর চতুর্থ দীর্ঘতম ও আমেরিকার দীর্ঘতম নদীমিসিসিপি নদীর দৈর্ঘ্য ৬২৭৫ কিলোমিটার এবং এর প্রধান শাখা নদী হল ওহাইও নদী। মিসিসিপি নদীর প্রাথমিক উৎপত্তিস্থল ইটাস্কা লেক মনে করা হলেও মূল উৎস নিয়ে বিতর্ক আছে। উত্তর আমেরিকার ড্রেনেজ সিস্টেম ব্যবস্থাপনার প্রধান সহায়ক মিসিসিপি নদী যা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডা পর্যন্ত বিস্তৃত যার মধ্যে আমেরিকার ৩১টি রাজ্য এবং কানাডার ২টি রাজ্য রয়েছে। এই নদীর তীর ঘেঁষে বসতি আছে আদিবাসী মার্কিনিদের যাদের অধিকাংশের পেশা কৃষিকাজ বা শিকার করা। বর্তমান সময়ে প্রতিনিয়তই এই নদীর তীরে গড়ে উঠছে নতুন শিল্প-কলকারখানা ও আবাসন প্রকল্প। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও উৎপাদন ব্যবস্থায় মিসিসিপি নদীর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এই নদীটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেক্সিকো উপসাগরে এসে মিশেছে।

৫. ইয়েনিসেই নদী

বিশ্বের ৫ম দীর্ঘতম নদী ইয়েনিসেই যা রাশিয়ার সাইবেরিয়ার মধ্যভাগের একটি নদী। এর দৈর্ঘ্য ৫,৫৩৯ কিলোমিটার। ইয়েনিসেই নদীর উৎপত্তিস্থল মঙ্গোলিয়া থেকে রাশিয়ায় প্রবেশ করে উত্তর দিকে প্রবাহিত হয় এবং পরবর্তীতে নদীটি আংগারা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। ইয়েনিসেই নদীর প্রধান উপনদীগুলো হল আঙ্গারা, কুরেইকা, আবাকান, ঊর্ধ্ব তুঙ্গুস্কা, পাথুরে তুঙ্গুস্কা, এবং নিম্ন তুঙ্গুস্কা। প্রতি সেকেন্ডে এই নদীর মোহনায় প্রবাহিত জলের পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ঘনমিটার। সোভিয়েত আমলে এই নদীতে অনেকগুলি জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এই নদীটি রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়ার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কারা সাগরে এসে মিশেছে। উত্তর মহাসাগরে পতিত হওয়া নদীগুলোর মধ্যে ইয়েনিসেই সবচেয়ে বৃহত্তম নদী।

আরো জানুন: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ টি দ্বীপ

৬. হোয়াংহো নদী

হোয়াংহো বিশ্বের ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম ও চীনের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৫,৪৬৪ কিলোমিটার যা এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। এই নদীর কর্দমাক্ত হলুদাভ পানির কারণেই নদীটির নাম হোয়াংহো। চীনা ভাষায় হোয়াং অর্থ হলুদ আর হো অর্থ নদী। ধারণা করা হয়, এই নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে সমৃদ্ধ চীনা সভ্যতা এবং এই নদীর অববাহিকায় পশুচারণভূমি অত্যন্ত উর্বর ছিল। প্রায় চার হাজার বছর আগে হোয়াংহো নদীর দুই তীরে বেশ কিছু সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস শুরু করে। নদীটি সিংহাই প্রদেশের বায়ান হার পর্বতের উত্তরাংশে উৎপত্তি হয়ে চীনের ৯টি প্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পীত সাগরে এসে মিশেছে। তাই এর অপর নাম পীত নদী। তবে নদীটি চীনের দুঃখ নামে বেশি পরিচিত। প্রাচীন চীন প্রায়ই হোয়াংহো নদীর জন্য বন্যায় প্লাবিত হতো। ইতিহাসে নদীটি ২৬ বার নিজের গতিপথ বদলেছে। যার ফলে চীনের জনগণ ভোগ করেছে অকল্পনীয় দুঃখ দুর্দশা। আর এই কারণেই হোয়াংহো নদীকে চীনের দুঃখ বলা হয়। 

৭. ওব নদী

ওব নদী বিশ্বের ৭ম দীর্ঘতম ও রাশিয়ার ৪র্থ বৃহত্তম নদীএর দৈর্ঘ্য ৫,৪১০ কিলোমিটার যা রাশিয়ার সাইবেরিয়ার পশ্চিম অংশের একটি নদী। ওব নদী সাইবেরিয়ার প্রধান তিনটি নদীর মধ্যে একটি এবং এই নদী কাজাখস্তানে ইরটিশ নদীর সাথে মিলিত হয়ে ওব ইরটিশে পরিণত হয়েছে। এই নদীর অববাহিকা পশ্চিম সাইবেরিয়ার বেশিরভাগ অংশ জুড়ে বিস্তৃত। নদীটি প্রধানত কাঠ এবং শস্য পরিবহনে ব্যবহার করা হয় তবে শীতকালে বরফ জমে পরিবহন বাধাগ্রস্ত হয়। এছাড়াও ওব নদী সেচ, পানীয় জল, জলবিদ্যুৎ শক্তি এবং মাছ ধরার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই নদীটি মঙ্গোলিয়া ও রাশিয়ার সীমান্তে সাইবেরিয়ার আলতাই পর্বতমালার উত্তরে উৎপত্তি লাভ করে এবং পরবর্তীতে রাশিয়া, কাজাখিস্তান, চীন ও মঙ্গোলিয়া দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে উত্তর মহাসাগরের একটি অংশ ওব উপসাগরে এসে মিশেছে।

৮. পারানা নদী

পারানা নদী পৃথিবীর ৮ম দীর্ঘতম নদী। পারানা শব্দের অর্থ হলো সমুদ্রের মতো বিশাল নদী। আমাজন নদীর পর এটি দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী যার দৈর্ঘ্য ৪,৮৮০ কিলোমিটার। দৈর্ঘ্যের দিক থেকে পারানা নদী পৃথিবীর অষ্টম দীর্ঘতম নদী হলেও প্রশস্ততার দিক থেকে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রশস্ততম নদী। পারানা নদীর একটি বড় অংশ আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং প্যারাগুয়ের মধ্যে সীমানাকে প্রতিনিধিত্ব করে। এছাড়াও পারানা নদী প্যারাগুয়ে সহ দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম শহর সাও পাওলোতে জল এবং জলবিদ্যুৎশক্তি সরবরাহ করে। পারানা নদীর উৎস ব্রাজিলের পার্বত্য অঞ্চলের দক্ষিণ অংশে যা প্রথমে প্যারাগুয়ে নদীর সাথে এবং তারপরে উরুগুয়ে নদীর সাথে মিশে রিও দে লা প্লাটা তৈরি করে। পরবর্তীতে নদীটি ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে, বোলিভিয়া ও উরুগুয়ে দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরে এসে মিশেছে।

আরো জানুন: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি মরুভূমি

৯. কঙ্গো নদী

পশ্চিম আফ্রিকায় অবস্থিত কঙ্গো নদী পৃথিবীর নবম দীর্ঘতম নদী। স্থানীয়ভাবে নদীটি জায়ারে নামেও পরিচিত। কঙ্গো নদী আফ্রিকার দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী, যার দৈর্ঘ্য ৪৭০০ কিলোমিটার অর্থাৎ আফ্রিকার নীলনদের পরে দীর্ঘতম নদী হলো কঙ্গো নদী। এই নদীকে পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম এবং আফ্রিকার সবচেয়ে রহস্যময় নদী হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। কঙ্গো নদীর অববাহিকার গড়ে উঠেছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রেইনফরেস্ট যা কঙ্গো রেইনফরেস্ট নামে পরিচিত। এছাড়াও এই নদীর অববাহিকা জুড়ে রয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার অধিকাংশ দেশের পুরো এলাকা। এই আফ্রিকান দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই নদীর যোগাযোগ ব্যবস্থা সরাসরি ভূমিকা রাখে। এই নদীটি ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, রিপাবলিক অব কঙ্গো, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, এ্যাঙ্গোলা, তাঞ্জানিয়া, ক্যামেরুন, জাম্বিয়া, বুরুন্ডি ও রুয়ান্ডা দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে এসে মিশেছে।

১০. আমুর নদী

আমুর নদী পৃথিবীর দশম দীর্ঘতম নদী যার দৈর্ঘ্য ৪,৪৪৪ কিলোমিটার। এটি পূর্ব মধ্য এশিয়ার একটি নদী যা উত্তর পূর্ব চীন এবং রাশিয়ার সীমান্ত বরাবর বিস্তৃত। আমুর নদী চীনে হেইলং জিয়াং নামে পরিচিত যার অর্থ কালো ড্রাগন নদী। এই নদীর প্রধান উপনদীগুলোর হল জেয়া, সোঙ্গুয়া, উসসুরি এবং বুরেয়া। এই নদীটি পূর্ব রাশিয়া এবং উত্তর পূর্ব চীনের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমানা চিহ্নিত করে। প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত এই নদীর অববাহিকার আয়তন প্রায় ১৯ লাখ বর্গ কিলোমিটার। চীনের পশ্চিম মাঞ্চুরিয়া পাহাড়ে শিলকা নদী এবং অর্জুন নদীর সংযোগস্থলে আমুর নদীর উৎপত্তি যা পরবর্তীতে রাশিয়া, চীন ও মঙ্গোলিয়া দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে তাতার প্রণালি থেকে ওখোৎস্ক সাগরে এসে মিশেছে।

তো এই ছিল বিশ্বের দীর্ঘতম ১০টি নদীর তালিকা। আজকের মতো আর কোন কোন বিষয়ের উপর এরকম তালিকা দেখতে চান তা আমাদের অবশ্যই কমেন্ট করে জানান। আজকের বিষয়টি (সেরা ১০) ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের সাথে। পৃথিবীর এরকম (জানা-অজানা) অদ্ভুত সব অজানা তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

এছাড়াও যদি আপনি নিয়মিত বিশ্বের ছোট ছোট অদ্ভুত, রহস্যময় ও আশ্চর্যজনক বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের সামাজিক মাধ্যমগুলোর সাথে যুক্ত থাকুন।

ফেইসবুক পেইজ: The Earth Bangla

ইউটিউব চ্যানেল: The Earth Bangla

ইনস্টাগ্রাম পেজ: The Earth Bangla

ফেইসবুক গ্রুপ: The Earth Bangla Family

Post a Comment

Please do not Enter any spam comment or Link in the comment Box

নবীনতর পূর্বতন