যে ১০টি দেশ ইসরায়েলকে ঘৃণা করে
ইসরাইল পৃথিবীর একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র যা ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ডের উপরে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বিতর্কিত একটি দেশ যার ফলে বিশ্বের অনেক দেশ ইজরাইলের অস্তিত্ব স্বীকার করে না, বিশেষ করে আরব বিশ্ব। প্রতিষ্ঠার পরপরই দেশটি প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সাথে যুদ্ধ জড়িয়ে যায় এবং ফিলিস্তিন-ইসরাইল ইস্যু একটি আন্তর্জাতিক সমস্যায় পরিণত হয়। পশ্চিমা দেশগুলো ইসরাইলের শুভাকাঙ্ক্ষী হলেও প্রতিবেশী আরব দেশগুলোকে ইজরাইল তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করে। The Earth Banglar সেরা ১০ সিরিজের আজকের পর্বে আমরা আপনাদের জানাবো ইসরায়েলের এমনই শত্রু ১০টি দেশ সম্পর্কে।
১০. বাংলাদেশ
ইসরাইল ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে শীতল এবং দেশ দুটির মধ্যে কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ইসরাইল বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ইজরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি। বাংলাদেশ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে এবং ইসরায়েলকে একটি "অবৈধ রাষ্ট্র" হিসাবে বিবেচনা করে। বাংলাদেশের সরকার ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল এবং ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র সমালোচনা করে। ইসরাইল প্রায় সময় বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নতিতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও বাংলাদেশ কখনো সে আহবানে সাড়া দেয়নি। তবে ২০২১ সালে বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট থেকে "ইসরায়েল ব্যতীত" কথাটি অপসারণ করা হয়। যদিও বাংলাদেশের সরকার দাবি করেছে যে এই পরিবর্তনটি আন্তর্জাতিক মান রক্ষার জন্য করা হয়েছে। এছাড়াও, বাংলাদেশি জনগণের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে যা সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের কারণে আরও তীব্র হয়েছে।
৯. আফগানিস্তান
ইসরাইল ও আফগানিস্তানের মধ্যে কোন সরাসরি সামরিক বা রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নেই। তবে, দুটি দেশের মধ্যে কিছু অস্পষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। ইসরাইল আফগানিস্তানকে একটি ইসলামি দেশ হিসাবে দেখে যা ইসরায়েলের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে হুমকি এবং আফগানিস্তানও ইসরায়েলকে একটি দখলদার ও অবৈধ রাষ্ট্র হিসেবে দেখে। কিন্তু ১৯৮০-এর দশকে, ইসরাইল আফগান মুজাহিদীনদের সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গোপনে সমর্থন করেছিল। এই সমর্থনটি মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্যোগে পরিচালিত হয়েছিল। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর, ইসরাইল আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে। তবে, তালেবান ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ আফগানিস্তানের তালেবান শাসক গোষ্ঠী ইহুদি-বিরোধী এবং তারা ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিলে আরব দেশগুলির সাথে তাদের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
আরো জানুন: ইসরায়েলের বন্ধু ১০টি দেশ
৮. সৌদি আরব
ইসরাইল ও সৌদি আরবের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশই আরব-ইসরাইল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল এবং তারা এখনও ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিরোধী অবস্থানে রয়েছে। সৌদি আরব এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি, যদিও ২০১৭ সালে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নতির চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং ইসরাইল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। কারণ উভয় দেশই অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় আগ্রহী। তবে, ফিলিস্তিনি সমস্যা সমাধান না হলে দেশ দুটির সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক করা কঠিন হবে। কিন্তু ইসরাইল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হলে এটি মধ্যপ্রাচ্যে অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
৭. পাকিস্তান
ইসরাইল ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে শীতল। দুই দেশই স্বাধীনতার পর থেকে একে অপরের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি। পাকিস্তান ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার পক্ষে এবং ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখে। এছাড়াও ইসরায়েলের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক শীতল হওয়ার আরেকটি কারণ হল ভারত ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যেখানে ভারত পাকিস্তান উভয় দেশই একে অপরের জন্য প্রধান নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও পাকিস্তান সরকার ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আগ্রহী বলে মনে করা হয়। কেননা বিগত কয়েক দশকে পাকিস্তান ও ইসরাইল সরকারের মধ্যে বেশ কয়েকবার গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে, পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে ইসরাইলের প্রতি বিরূপ মনোভাব রয়েছে। তাই, পাকিস্তান সরকার ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে ঝুঁকি নিতে চায় না।
৬. তুরস্ক
ইসরাইল ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে জটিল ও অস্থিতিশীল। কেননা এখন পর্যন্ত দেশ দুটি বেশ কয়েকবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও ছিন্ন করেছে। এছাড়াও দেশ দুটির মধ্যে কিছু মৌলিক মতপার্থক্যও রয়েছে, বিশেষ করে ফিলিস্তিন ইস্যুতে। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের স্বাধীনতার পর, তুরস্কই ছিল প্রথম মুসলিম দেশ যারা ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। তবে, ২০০৯ সালে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের ক্ষমতায় আসার পর, সম্পর্কগুলির অবনতি ঘটে। এরদোয়ান ইসরাইলের পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি নির্মাণের সমালোচনা করেছিলেন এবং তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের আচরণের নিন্দা করেছিলেন। এছাড়াও ২০১০ সালে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার দিকে যাওয়া একটি তুর্কি ত্রাণ জাহাজে হামলা চালায়। এতে ৯ জন তুর্কি নাগরিক নিহত হয়। এই ঘটনার পর, তুরস্ক ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরো জানুন: বাংলাদেশের বন্ধু ১০টি দেশ
৫. ইরাক
ইসরাইল ও ইরাকের মধ্যে সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের স্বাধীনতার পর, ইরাক ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়নি। দুই দেশই একে অপরকে শত্রু হিসাবে দেখে এবং তাদের মধ্যে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ইসরাইল ও ইরাকের মধ্যে উত্তেজনা ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের পর আরও বেড়ে যায়। ইরাক মনে করে যে ইসরাইল ইরাকের তেল সম্পদকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে এবং ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে। তাই ইসরাইল ও ইরাকের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। উভয় দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কের মতবিরোধ রয়েছে এবং উভয় দেশই তাদের শত্রুতাপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে আগ্রহী বলে মনে করা হয়।
৪. সিরিয়া
ইসরাইল এবং সিরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনাপূর্ণ এবং শত্রুতাপূর্ণ যা ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের স্বাধীনতার পর থেকে চলছে। এই দ্বন্দ্বের মূল কারণ হল সিরিয়ার গোলান মালভূমির নিয়ন্ত্রণ যা ইসরায়েল, সিরিয়া এবং লেবাননের সীমান্তে অবস্থিত। ১৯৬৭ সালে ছয়দিনের যুদ্ধের সময়, ইসরায় সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে এবং তারা এটিকে ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য বলে মনে করে। এছাড়াও ফিলিস্তিন ইস্যুতে দেশ দুটি একে অপরের বিপরীতে অবস্থান করে। এসব দ্বন্দ্বের ফলে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকবার সামরিক সংঘর্ষ হয়েছে। তবে সিরিয়া গোলান মালভূমির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে চায় এবং ইসরায়েলের সাথে শান্তি চুক্তি করতে চায়। কিন্তু ইসরাইল এবং সিরিয়া কখনই শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেনি। দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বেশ কয়েকটি চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু সবগুলোই ব্যর্থ হয়েছে।
৩. লেবানন
ইসরাইল ও লেবানন দুই দেশই মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ দুটি দেশ এবং তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ও সামরিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যে বিরোধের মূল কারণ হল ফিলিস্তিন ইস্যু এবং লেবাননে হিজবুল্লার উপস্থিতি। লেবানন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সমর্থন করে এবং ইসরায়েলের সাথে শান্তি আলোচনার বিরোধিতা করে। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর থেকে, লেবানন বেশ কয়েকবার ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধে জড়িত হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ ছিল ১৯৮২ সালের লেবানন যুদ্ধ, যেখানে ইসরায়েল লেবাননের দক্ষিণ অংশ দখল করে নেয়। এছাড়াও লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের একটি বড় জনসংখ্যা রয়েছে, এবং তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে জড়িত। ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যে দ্বন্দ্ব সমাধানের জন্য বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা করা হয়েছে। ২০২২ সালে, ইসরাইল ও লেবানন তাদের সমুদ্রসীমা নিয়ে একটি চুক্তিতে সম্মত হয়। এই চুক্তিটি দ্বন্দ্বের সমাধানের দিকে একটি পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হয়। তবে ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যে সম্পর্ক এখনও শত্রুতাপূর্ণ।
আরো জানুন: বিশ্বের চিরশত্রু ১০টি দেশ
২. ইরান
ইসরাইলের প্রতিষ্ঠার পর থেকে, ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী শত্রুতা বজায় রেখেছে। এই শত্রুতার মূল কারণ হল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি যা ইসরায়েলের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি। তাই এই দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ যা গত কয়েক দশকে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। দুটি দেশই পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী, এবং তাদের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের সম্ভাবনাও রয়েছে। ইরান ইসরায়েলকে একটি "অবৈধ রাষ্ট্র" বলে মনে করে এবং ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে উচ্ছেদের জন্য কাজ করছে। অপরদিকে ইসরাইলও ইরানকে একটি "সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র" বলে মনে করে এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি সফল হামলা চালিয়েছে। দেশ দুটি এখনো সরাসরি কোন যুদ্ধে জড়িত হয়নি কিন্তু ইরান লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুতিদের মতো ইসরায়েলের প্রতিপক্ষদের সমর্থন করে। তাই বলা যায়, ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম এবং দুই দেশের সরকারই একে অপরের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কখনো কোনও আগ্রহ দেখায়নি।
১. ফিলিস্তিন
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত জটিল ও উত্তেজনাপূর্ণ যা ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের স্বাধীনতার পর থেকে চলছে। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ডের উপরে নিজেদের দেশ প্রতিষ্ঠা করে ও ফিলিস্তিনের অধিকাংশ জায়গা দখল করে নেয় এবং ফিলিস্তিনিদের নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত করে, যা ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত অধ্যায়। পরবর্তীতে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ২টি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের সমাধান দেওয়া হলেও তা ছিল বিতর্কিত এবং ফিলিস্তিনের জনগণ তা কখনোই মেনে নেয়নি। তাই ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলকে তাদের ভূখণ্ড দখলদার বলে মনে করে এবং ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূখণ্ড ফিরে পেতে চায়। গত কয়েক দশকের সহিংসতা, রাজনৈতিক বিরোধ এবং ব্যর্থ শান্তি আলোচনা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বন্দ্বকে আরো উসকে দিয়েছে। এই দ্বন্দ্বের কারণে ইসরায়েলিরা প্রায়ই ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালায়। যার ফলে অসংখ্য মানুষ মারা গেছে, আহত হয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ফলে এই সংঘাতে ইসরাইলের পক্ষে ও বিপক্ষে অনেক দেশ জড়িয়ে পড়েছে এবং এটি একটি আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্বে রূপ নিয়েছে।
বিঃদ্রঃ কাতার, কুয়েত, জর্ডান, উজবেকিস্তান এবং মিশর সহ মুসলিম সব দেশ ইজরাইলকে শত্রু দেশ হিসেবে বিবেচনা করে।
এছাড়াও যদি আপনি নিয়মিত বিশ্বের ছোট ছোট অদ্ভুত, রহস্যময় ও আশ্চর্যজনক বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের সামাজিক মাধ্যমগুলোর সাথে যুক্ত থাকুন।
ফেইসবুক পেইজ:
ইউটিউব চ্যানেল:
ইনস্টাগ্রাম পেজ: The Earth Bangla
ফেইসবুক গ্রুপ:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not Enter any spam comment or Link in the comment Box